খুলনায় তিনি দিন ব্যাপী বিভাগীয় ডিজিটাল উদ্ভাবনী মেলা/১৮ এর সমাপনী ও পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠান গত ১০ মার্চ শনিবার বিকেলে সার্কিট হাউজ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হোসেন মিয়া। মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের এটুআই প্রোগ্রামের আওতায় খুলনা বিভাগীয় প্রশাসন এ মেলার আয়োজন করে। প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, সাধারণ মানুষ যাতে তার প্রয়োজনীয় সেবা ঘরে বসেই সহজে ও সল্প খরচে পেতে পারে সে লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রত্যেকটি সরকারি অফিস তার নিজস্ব উদ্ভাবনী চিন্তার মাধ্যমে প্রদান করে যাচ্ছে। জনপ্রশাসন এখন জনসেবায় রূপ নিয়েছে। তিনি বলেন, সরকার আউট সোসিং প্রশিক্ষণ দিয়ে তরুন সমাজকে ঘরে বসেই বৈদেশিক মূদ্রা অর্জন করে নিজের ভাগ্যের পরিবর্তনের সাথে সাথে দেশের অর্থনীতিতে ভূমিকা রাখছে। ডিজিটাল বাস্তবায়নের কারণে দূর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া সম্ভব হবে। অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ ফারুক হেসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, কেএমপি কমিশনার মোঃ হৃমায়ুন কবীর পিপিএম, অতিরিক্ত রেন্জ ডিআইজি একেএম নাহিদুল ইসলাম এবং সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইফতেখার হোসেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নিশ্চিন্ত কুমার পোদ্দার। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন,খুলনা জেলা প্রশাসক মোঃ আমিন উল আহসান। এর আগে গত ৮ মার্চ বেলা ১১টায় এ মেলার উদ্ভোধন করেন, বাগেরহাট-৩ আসনের সংসদ সদস্য ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। এ সময় তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন সপ্ন নয় বরং সময়ের দাবী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপ নিয়েছে। সরকারের ই-বান্ধব প্রযুক্তি প্রসারে উদ্যেগী ভূমিকার কারণে জীবনযাপন বর্তমানে গতিশীলতার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, পৃথিবীকে নেতৃত্ব দিতে হলে অবশ্যই বর্তমান প্রজন্মকে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। উদ্ভেধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার লোকমান হেসেন মিয়া। বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন, খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মুহাম্মদ মিজানুর রহমান এবং খুলনা উন্নয়ন কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোঃ আহমেদুল কবীর এনডিসি। স্বাগত বক্তৃতা করেন, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ ফারুক হোসেন। এর আগে প্রধান অতিথি ও অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ফিতা কেটে ও বেলুন উড়িয়ে মেলার উদ্ভোধন করেন। এবারের মেলায় ৫টি প্যাভিলিয়নে ৭৭টি প্রতিষ্ঠানের মোট ৮০টি স্টল তাদের উদ্ভাবনী প্রযুক্তি প্রর্দশন করেন। পরে প্রধান অতিথি ৭ ক্যাটাগরীতে শ্রেষ্ঠ ব্যাক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে পুরষ্কার ও সনদপত্র বিতরণ করেন। এ বারের মেলায় প্রতিদিন সেমিনার ও সন্ধায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন ছিল।