রাজশাহীর গোদাগাড়ি উপজেলার পাকড়ি ইউনিয়নের রাধানগর গ্রামে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উদ্যোগে ডিএই-সিমিটি-এসআরএফএসআই প্রকল্পের আওতায় চাষী জাহিদুল ইসলামের মাঠে বিনা চাষে আমন ধান উৎপাদন প্রযুক্তি বিষয়ে এক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সরেজমিন উইং-এর সম্মানিত পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোঃ আব্দুল মঈদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী জেলার উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ শামছুল হক, ধান গবেষণা ইনিস্টিটিউটের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ আমিনুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালকের কার্যালয়ের উপপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ জয়নাল আবেদিন, জেলা প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা মোঃ মুঞ্জুরুল হক এবং সরেজমিন গবেষণা বিভাগের উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ সাখাওয়াত হোসেন। আর অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ এসএম মোস্তাফিজুর রহমান।
মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি বলেন, বরেন্দ্র অঞ্চলে পানি সাশ্রয়ি ফসল আবাদ করতে হবে। এই প্রযুক্তিতেও পানি কিছুটা কম লাগে বলে তাই এইভাবে চাষ করার জন্য চাষীদের আহ্বান জানান। মাটি থেকে ভাল ফসল পেতে হলে পর্যাপ্ত পরিমানে জৈব পদার্থ মাটিতে যোগ করতে হবে। মাটি বেশি নাড়াচাড়া করলে জৈব পদার্থ কমে যাবে। তিনি পারচিং এর উপকারিতা সম্পর্কেও কৃষকদের অবহিত করেন। তিনি আগামী বোরো মৌসুমে ব্রি-ধান ২৮-এ নেকব্লাস্টেও আক্রমণ এবং ধান গম সহ অন্যান্য ফসলের বীজ শোধনের ওপর বিশেষ গুরত্ব প্রদান করেন। তিনি বর্তমান সরকারের কৃসি উন্নয়ন, সার নীতি, কৃষিনীতি নিয়েও কৃষকদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান করেন সাথে সাথে ৫০% ভ’তর্কি মূল্যে কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়ের সুবিধা উপস্থাপন করেন।
সভাপতি তাঁর বক্তব্যে বলেন, এই প্রযুক্তিতে আগামী বোরো মৌসুমে আবাদ করা যেতে পারে। এছাড়া বিপিএইচ দমনের জন্যও তিনি সকলকে তৎপর থাকার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। আর ৮০% ফসল পেকে গেলে ধান কেটে ফেলর পরামর্শ প্রদান করেন। পরিশেষে তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে মাঠ দিবসের সমাপ্তি ঘোষনা করেন।
মাঠ দিবসে কৃষিবিভাগরে বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সদস্য এবং কৃষক কৃষাণী সহ প্রায় ২৫০ জন উপস্থিত ছিলেন। এরপর প্রধান অতিথি আমন মৌসুমের স্বর্না জাতের একটি নমুনা শস্য কর্তন করেন যেখানে ফলন পাওয়া যায় ৫.১ মেঃটন/হেক্টর।