খাদ্য-পুষ্টি নিরাপত্তায় আন্তঃফসল
ও সাথীফসলের চাষ
ড. মো. আলতাফ হোসেন
আন্তঃফসল চাষ এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে এক বা একাধিক ফসল একত্রে উৎপাদন করে উৎপাদনশীলতা বাড়ানো যায় এবং ফসলহানির ঝুঁকিও এড়ানো যায়। দীর্ঘমেয়াদি ফসল চাষের ক্ষেত্রে আন্তঃফসল চাষ প্রযুক্তি এখন সময় ও চাহিদার দাবি। আর সাথী ফসলের চাষ একটি ক্লাইমেট-স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি, এতে প্রথম ফসলটি মাঠ থেকে সংগ্রহের পূর্বেই দ্বিতীয় ফসলটি বপন/রোপণ করা হয়। এর ফলে দ্বিতীয় ফসলটি সঠিক সময়ে বপন/রোপণ করা যায়, এতে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত হয় এবং ফসলের উৎপাদন খরচ কমে যায়। সর্বোপরি আবহাওয়ার বৈরী অবস্থাকে মোকাবিলা করে সঠিক সময়ে ফসল উৎপাদন করা যায় এবং ফসলের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায়। সুতরাং আন্তঃফসল ও সাথী ফসলের চাষ কিভাবে দেশের খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি ও মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তায় অবদান রাখতে পারে তার কিছু লাগসই প্রযুক্তি সম্পর্কে আলোকপাত করা হলো।
রবি মৌসুমে ব্যবহারযোগ্য আন্তঃফসল ও সাথীফসলের লাগসই প্রযুক্তিসমূহ
বাংলাদেশে প্রায় ৩ লক্ষ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়ে থাকে (বিবিএস ২০২২-২৩)। গমের সাথে আন্তঃফসল হিসেবে ২ঃ১, ২ঃ২, ৩ঃ১ এবং ৩ঃ২ সারি বিন্যাসে ছোলা/তিসি/ধনিয়া/ কালোজিরা ইত্যাদি ফসল সন্তোষজনকভাবে চাষ করে ফসলের বহুমুখীকরণের পাশাপাশি সামগ্রিক উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায় এবং আবহাওয়াগত ও প্রাকৃতিক কারণে ফসলহানির ঝুঁকিও এড়ানো যায়।
বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে পটোলের চাষ হয়ে থাকে (বিবিএস ২০২২-২৩)। বৃহত্তর রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, কুষ্টিয়া, যশোর ইত্যাদি জেলায় উল্লেখ্যযোগ্যভাবে এর আবাদ হয়ে থাকে। অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত ১ মিটার দূরত্বে পটলের মাতৃগাছের লতা রোপণের পরপরই পটোলের সারির মাঝে প্রথম আন্তঃফসল হিসেবে সাফল্যজনকভাবে মসুর চাষ করা যায়। মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহে মসুর সংগ্রহের পর দুই সারি পটোল গাছের মাঝে দ্বিতীয় আন্তঃফসল হিসেবে হলুদ রোপণ করে সেচ প্রদান করতে হয়। হলুদ যেহেতু একটি আংশিক ছায়া পছন্দকারী ফসল, তাই পটোলের মাচার নিচে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়েও ভালো ফলন দেয়। আর পটোল যেহেতু মাচায় থাকে তাই হলুদ চাষের ফলে পটোলের ফলনের উপর কোন প্রভাব পড়ে না। গবেষণায় দেখা গেছে যে, একক ফসল হিসেবে পটোল চাষে হেক্টরপ্রতি ২.৬৪,০০০/- টাকা মুনাফা পাওয়া যায় অথচ পটোল+মসুর+হলুদ আন্তঃফসল হিসেবে চাষ করলে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি পায় এবং হেক্টরপ্রতি ৪,৫০,০০০/- থেকে ৫,৩০,০০০/- টাকা পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যায়।
আবার দ্বিতীয় পদ্ধতিতে ১ মিটার দূরত্বের সারিতে পটোলের মাতৃগাছের লতা রোপণের সাথেসাথেই দুই সারি পটোলের মাঝে প্রথম আন্তঃফসল হিসেবে লালশাক বা পালংশাক বপন করা যায়। লালশাক বা পালংশাক ২৫-৩০ দিনের মাথায় সংগ্রহের পর দ্বিতীয়বার সাথী ফসল হিসেবে লালশাক বা পালংশাক বপন করতে হয়। দ্বিতীয় লালশাক বা পালংশাক সংগ্রহের পর ১৫-৩০ মার্চের মধ্যে দুই সারি পটোলের মাঝে ৩০ সেমি. দূরত্বে তৃতীয় সাথী ফসল হিসেবে দুই সারি হলুদ/আদা রোপণ করা যায়। এই পদ্ধতিতে পটোলের সাথে লালশাক/পালংশাক এবং হলুদ/আদা আন্তঃফসল হিসেবে চাষ করলে হেক্টরপ্রতি ৫,৬০,০০০/- থেকে ৭,০৯,০০০/- টাকা পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যায়।
চলনবিলসহ অন্যান্য বিল এলাকায় মাঝারি উঁচু থেকে নিচু আমন ধানের জমিতে অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে নভেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত সময়ে সাথী ফসল হিসেবে স্বল্পকালীন সরিষার জাত যেমন বারি সরিষা-১৪ চাষ করা যায় এবং জানুয়ারি মাসের মধ্যেই সরিষা সংগ্রহের পর ফেব্রুয়ারি মাসে সেখানে বোরোধান চাষ করে বোনাস ফসল হিসেবে প্রতি হেক্টরে ১২০০-১৫০০ কেজি সরিষা পাওয়া যায়। চলনবিলসহ অন্যান্য বিল এলাকায় এই প্রযুক্তিটি লাগসই প্রযুক্তি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে, যা ব্যাপক এলাকায় সম্প্রসারিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করলে সরিষার উৎপাদন উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া এলাকা ও অবস্থানভেদে আমন ধানের জমিতে সাথী ফসল হিসেবে গম চাষও করা যায় তবে এক্ষেত্রে গম কাটার পরে আর বোরো ধান রোপণ করার সুযোগ থাকে না। আবার আমন ধানের সাথে সাথী ফসল হিসেবে জমি নরম অবস্থায় ডিবলিং পদ্ধতিতে ভুট্টা চাষ করে বিনা চাষে সঠিক সময়ে ভুট্টা বপন করে সাফল্যজনকভাবে ভুট্টার উৎপাদন বৃদ্ধি করার সুযোগ রয়েছে।
এ ছাড়া চলনবিল এলাকায় বিশেষ করে নাটোর ও পাবনা জেলার বিভিন্ন উপজেলায় প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে বিনাচাষে রসুন উৎপাদন একটি লাগসই ও টেকসই প্রযুক্তি হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। এসব এলাকার বোনা আমন ও রোপা আমন ধানের মাঝারি উঁচু থেকে নিচু জমিতে অক্টোবর মাসের মাঝামাঝি থেকে নভেম্বর মাস পর্যন্ত সময়ে কাদায় বিনাচাষে রসুন বপন করা হয় এবং সেখানে সাথীফসল হিসেবে ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারি মাসের মধ্যে তরমুজ/বাঙ্গি/খিরা/করলা ইত্যাদি চাষ করা হয়। একক ফসল হিসেবে রসুন চাষ করলে হেক্টরপ্রতি ৪,৫০,০০০/- থেকে ৫,০০,০০০/- টাকা লাভ হয় কিন্তু রসুনের সাথে সাথীফসল হিসেবে উল্লেখিত ফসলগুলো চাষ করলে হেক্টরপ্রতি ১০,০০,০০০/- থেকে ১১,০০,০০০/- টাকা লাভ পাওয়া যায়।
আবার স্বাভাবিকভাবে মাঝারি উঁচু এলাকা থেকে নিচু এলাকায় আমন ধানের সাথে সাথী ফসল হিসেবে ডাল জাতীয় ফসল যেমন- খেসারি, মসুর, মটর চাষ হয়ে থাকে। বিস্তীর্ণ এলাকা পতিতও পড়ে থাকে। সকল চাষাবাদকৃত এবং পতিত জমিতে সাথীফসল হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটসমূহ কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল খেসারি, মসুর ও মটর চাষ করতে পারলে একদিকে যেমন চাষের এলাকা বৃদ্ধি পাবে আবার অন্যদিকে উচ্চফলনশীল জাত চাষ করায় ডালের উৎপাদন ১.৫ থেকে ২.০ গুণ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা সম্ভব যা- মাটি, মানুষ ও গবাদির পুষ্টি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
বাংলাদেশে বর্তমানে প্রায় ৭০ হাজার হেক্টর জমিতে আখ চাষ হয়ে থাকে (বিবিএস ২০২২-২৩)। আখ চাষের উঁচু ও মাঝারি উঁচু জমিতে আগাম রোপণ (সেপ্টেম্বর-অক্টোবর) ও মধ্যম রোপণ (নভেম্বর-ডিসেম্বর) সময়ে আখের সাথে প্রথম সাথী ফসল হিসেবে মসুর/ছোলা/মটর/পেঁয়াজ/ রসুন/ধনিয়া/ আলু/ফুলকপি/টমেটো ইত্যাদি চাষ করে দ্বিতীয় সাথী ফসল হিসেবে মুগডাল চাষ করলে জমির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি জমির উর্বরতাও বৃদ্ধি পায়। এ ছাড়া শস্য নিবিড়তাও বাড়ে এবং কৃষকরা অধিক লাভবান হতে পারেন। বাংলাদেশ সুগারক্রপ গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঈশ^রদী, পাবনা কর্তৃক পরিচালিত আখের সাথে সাথীফসল হিসেবে ডাল, মসলা ও সবজিজাতীয় ফসল উৎপাদন প্রকল্প থেকে পরিচালিত গবেষণার ফলাফলে দেখা যায় যে, এককভাবে আখচাষ করলে হেক্টরপ্রতি প্রায় ২,০০,০০০/- টাকা লাভ হয় আর সেখানে উল্লেখিত ফসলগুলোকে সাথী ফসল হিসেবে চাষ করলে ফসলভেদে হেক্টরপ্রতি ৩,৮০,০০০ থেকে ৮,৭০,০০০ টাকা পর্যন্ত লাভ পাওয়া যায়। উল্লেখ্য, প্রথম সাথী ফসল হিসেবে টমেটো চাষে সর্বাধিক লাভ পাওয়া যায়।
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জেলাগুলো যেমন- বৃহত্তম চট্টগ্রাম ও বরিশাল জেলাগুলোতে আমন ধানের সাথে সাথীফসল হিসেবে স্থানীয় জাতের পরিবর্তে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত উচ্চফলনশীল ফেলন চাষ করে ডালের উৎপাদন বৃদ্ধি ও জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করা যায়, যা দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের পুষ্টি নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
খরিফ মৌসুমে ব্যবহারযোগ্য আন্তঃফসল ও সাথীফসলের লাগসই প্রযুক্তিসমূহ
বাংলাদেশে গ্রীষ্মকালে প্রায় ৮০ হাজার হেক্টর জমিতে ভুট্টার চাষ হয়ে থাকে (বিবিএস ২০২২-২৩)। এই বৃহৎ এলাকায় খরিফ-১ ও খরিফ-২ উভয় মৌসুমে ভুট্টার সাথে আন্তঃফসল হিসেবে মুগ ও মাসকলাইয়ের চাষ করে জমির সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতের মাধ্যমে সামগ্রিক উৎপাদন বৃদ্ধির পাশাপাশি মাটির উর্বরতা বৃদ্ধি করা যায়, যা একটি অত্যন্ত লাগসই ও টেকসই প্রযুক্তি।
বাংলাদেশে প্রায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে মুখীকচুর চাষ হয়ে থাকে (বিবিএস ২০২২-২৩)। খরিফ-১ মৌসুমে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে মার্চ মাসের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত সময়কালে মুখীকচুর সাথে তিলের আন্তঃফসল চাষ একটি লাগসই ও লাভজনক প্রযুক্তি। এক্ষেত্রে ১০০% তিল ছিটিয়ে বপনের পর একক সারি বা দ্বৈত সারি পদ্ধতিতে মুখীকচুর কন্দ (বীজ) বপন করতে হয়। গবেষণায় দেখা যায় যে, একক ফসল হিসেবে মুখীকচু চাষ করলে হেক্টরপ্রতি ৯৫,০০০/- টাকা মুনাফা পাওয়া যায় আর একক ফসল হিসেবে তিল চাষ করলে ২৩,০০০/- টাকা মুনাফা পাওয়া যায়। অথচ বিভিন্ন সারি বিন্যাসে মুখীকচু ও তিলের আন্তঃফসল হিসেবে চাষ করলে ১,১৮,০০০/- থেকে ১,৩৪,০০০/- টাকা পর্যন্ত মুনাফা পাওয়া যায়।
বাংলাদেশে খরিফ-১ মৌসুমে বৃহত্তর রাজশাহী, কুষ্টিয়া ও যশোর এলাকায় ব্যাপকভাবে মুগ চাষ হয়ে থাকে। মার্চের প্রথম সপ্তাহ থেকে শেষ পর্যন্ত সময়ে ৩০ সেমি. দূরত্বে ২ঃ১, ২ঃ২, ৩ঃ১ এবং ৩ঃ২ সারি বিন্যাসে মুগের সাথে তিলের আন্তঃফসল চাষও একটি লাগসই ও লাভজনক প্রযুক্তি। একক ফসল হিসেবে মুগ চাষ করলে অনেক সময় অতি বৃষ্টিতে মুগ গাছের অতিরিক্ত বৃদ্ধির কারণে ফুল ও ফল ধারণ কমে যাওয়ায় ফলন মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে পারে। সেক্ষেত্রে মুগ ও তিলের আন্তঃফসল চাষ করলে মুগের ফুলের থ্রিপস ও ফলছেদক পোকার আক্রমণ কমে যাওয়ার পাশাপাশি ফসল উৎপাদনের ঝুঁকি কমে যায়, আবার সামগ্রিক উৎপাদনও বৃদ্ধি পায়। গবেষণায় দেখা যায় যে, এককভাবে মুগ চাষ করলে যেখানে ১ টাকা খরচে গড়ে ১.৪৪ টাকা মুনাফা পাওয়া যায় সেখানে মুগ ও তিলের আন্তঃফসল চাষ করলে প্রতি টাকায় গড়ে ১.৮৭ টাকা মুনাফা পাওয়া যায়।
এছাড়া দেশে বিভিন্ন এলাকায় স্থাপনকৃত (বিশেষ করে নতুন স্থাপনকৃত) বিভিন্ন ধরনের ফলবাগান যেমন- কলা, পেঁপে, কুল, ড্রাগন, লেবু, কমলা, মাল্টা, আম, লিচু, কাঁঠাল ইত্যাদির মধ্যেকার ফাঁকা জায়গায় অনায়াসেই বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি, ডাল, তেল ও মসলাজাতীয় ফসলের চাষ করা যায়। এতে জমির সর্বোত্তম ব্যবহার সুনিশ্চিত হয়, শস্যের বহুমুখীকরণের মাধ্যমে নিবিড়তা বৃদ্ধি পায় এবং উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে অধিক লাভবান হওয়া যায়।
উপরের আলোচনা থেকে এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, দেশের বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যমান ফসল ধারাকে ব্যাহত না করে আন্তঃফসল ও সাথীফসলের চাষ বৃদ্ধি করে ফসলের সামগ্রিক উৎপাদন বৃদ্ধি করার যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। সুপরিকল্পিত ও আন্তরিকভাবে উদ্যোগ গ্রহণ করে আন্তঃফসল ও সাথীফসলের আবাদ সম্প্রসারণের মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি করতে পারলে দেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য চাহিদা ও পুষ্টি নিরাপত্তা বিধানে অত্যন্ত সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।
লেখক : মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ডাল গবেষণা কেন্দ্র ও আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, ঈশ্বরদী, পাবনা, মোবাইল : ০১৭২৫-০৩৪৫৯৫, ই-মেইল : hossain.draltaf@gmail.com