Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd অক্টোবর ২০২২

সরকারি শিল্প কারখানা যেন উৎপাদনশীলতার মডেল হয়: কৃষিমন্ত্রী


প্রকাশন তারিখ : 2022-10-02

কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, দেশের সরকারি কারখানাগুলোর উৎপাদনশীলতা খুব সীমিত।  বেশ পুরনো। কিন্তু এসব কারখানা এমন হওয়া দরকার যেন সেগুলো নিজ নিজ খাতে উৎপাদনশীলতার মডেল হয়ে ওঠে। সেটি না হয়ে যদি  উল্টো কম উৎপাদনশীলতার বা খারাপের মডেল হয়ে উঠে, তাহলে তা খুব দুঃখজনক। সেজন্য সরকারি শিল্পকারখানাগুলোকে জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার মধ্যে দিয়ে  পরিচালনা করতে হবে। 

আজ রবিবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের  আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে  মন্ত্রী এসব কথা বলেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশনের (এনপিও) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে না পারলে শিল্পকারখানা লাভজনক হবে না উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, একটি সমন্বিত স্টাডি করে দেখা দরকার সরকারি শিল্পকারখানার কোনটির উৎপাদনশীলতা ভাল, কোনটির কম। জাতির সামনে সে স্টাডি তুলে ধরতে হবে। একইসাথে, বেসরকারি শিল্পকারখানাগুলোর উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতেও জোর দিতে হবে। 

কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিতে আগে উৎপাদনশীলতা অনেক কম ছিল। উন্নত জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা এখন অনেক বেড়েছে। আগে এক বিঘা জমিতে ৪-৫ মণ ধান হতো, এখন সেটা ১৭-১৮ মণ হয়েছে। এই উৎপাদনশীলতা বাড়ার ফলেই প্রায় ১৭কোটি মানুষের খাবার যোগান সম্ভব হচ্ছে। তবে উৎপাদনশীলতা আরও বাড়ান সম্ভব। আমাদের বিজ্ঞানীরা এমন জাত যেমন ব্রিধান ৮৯, ৯২ উদ্ভাবন করেছে যার ফলন বিঘাতে ৩০ মণের বেশি। এগুলো সম্প্রসারণের চেষ্টা চলছে।

মন্ত্রী বলেন , আমাদের গাভীগুলো আগে ৫ লিটার দুধ দিত। এখন উন্নত জাতের কারণে ২৮-৩০ লিটারও দুধ দিচ্ছে। কিন্তু ইউরোপে আরও ভালো জাত ও লালনপালনের প্রযুক্তি রয়েছে। সেখানে ৬০ লিটারও দুধ দেয়। সেগুলো আমাদের বাস্তবায়ন করতে হবে।

উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির জন্য কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা,  রোবোটিকস,  জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং প্রভৃতি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রযুক্তি ব্যবহারের আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন উন্নত প্রযুক্তি এসেছে। কিন্তু উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে আমরা সে সুবিধাগুলো কতোটা কাজে লাগাতে পারছি, সেটা মূল্যায়নের সময় এসেছে। এসডিজিতে আমাদের উৎপাদনশীলতার টার্গেট দ্বিগুণ করার কথা। সেটা একটি খুব বড় চ্যালেঞ্জ। সেটা মাথায় নিয়ে কাজ করতে হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে সেটা অর্জন করতে হবে।

তিনি বলেন, আবার প্রযুক্তি ব্যবহারে আমাদের দুর্বলতা রয়েছে। অনেক চাষী ধান উৎপাদনে সার, কীটনাশক ও সেচের প্রয়োজনীয়তা ঠিক রাখতে পারছেনা। কেউ বেশি দিচ্ছে, আবার কেউ কম।এতে একদিকে খরচও বাড়ছে, অন্যদিকে কাঙ্ক্ষিত উৎপাদন হচ্ছে না। সেজন্য, এসব উপকরণের 
সর্বোত্তম ব্যবহারের মাত্রা শিখতে হবে ও সর্বোচ্চ উৎপাদন করতে হবে।

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে  শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম সেরা অবস্থানে রয়েছে। সামগ্রিক অর্থনীতিতে শিল্পের অবদান এখন ৩৭ শতাংশ। যা ক্রমবর্ধমান উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য সম্ভব হয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে  শিল্পসচিব জাকিয়া সুলতানা ও এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি জসিম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। সভাপতিত্ব করেন এনপিওর মহাপরিচালক মো. মেসবাহুল আলম। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এটুআইর হেড অব টেকনোলজি ফারুক আহমেদ জুয়েল।


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon