Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ মার্চ ২০১৯

জাতীয় মৌ মেলা ২০১৯ এর উদ্বোধন


প্রকাশন তারিখ : 2019-03-10

রাজধানীর ফার্মগেটে আ. কা. মু গিয়াস উদ্দীন মিলকী অডিটরিয়াম চত্বরে তিন দিন ব্যাপী জাতীয় মৌ মেলা ২০১৯ এর উদ্বোধন করেন কৃষিমন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। জাতীয় মৌ মেলা উপলক্ষ্যে মিল্কী অডিটরিয়ামে ‘মৌচাষ ও মধুর বাজার সম্প্রসারণ, সমস্যা ও উত্তরণ’ বিষয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়  মাননীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়নের যে ধারাবাহিকতা সৃষ্টি হয়েছে, তা অব্যাহত রাখতে হবে। কৃষিসহ ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে সমৃদ্ধশালী করতে হবে। কৃষিকে প্রকৃত বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করতে হবে, এর জন্য বাজারজাতকরণ ও রপ্তানি অপরিহার্য। তিনি আরও বলেন, জাপানে আমাদের মধু রপ্তানি হচ্ছে। জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আমাদের পণ্যের বহুমুখীকরণের মাধ্যমে রফতানি বৃদ্ধি করতে হবে। খাবার মানসম্পন্ন, নিরাপদ ও সুস্বাদু হলে আন্তর্জাতিক বাজারে আমাদের রফতানি বাড়বে।


মাননীয় কৃষিমন্ত্রী বলেন, আমাদের জমি অনেক ভালো। আমরা সারা বছর ধরে উৎপাদন করতে পারি। আমাদের দেশের মানুষের আয় কম। একটু বেশি উৎপাদন হলে আর তারা দাম পায় না। এসকল ক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট কর্মসূচি নিতে হবে। প্রতিবছর প্রচুর মধু বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। মধুর বাণিজ্যিকীকরণের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি ও রফতানি প্রক্রিয়াকে সম্প্রসারণ করতে বিভিন্ন ক্ষেত্র খুঁজে বের করতে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরকে আহ্বান জানান ।


সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রণালয়ের সচিব জনাব মোঃ নাসিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মীর নূরুল আলম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের হর্টিকালচার উইংয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক শাহ মো: আকরামুল হক। মৌচাষ ও মধুর বাজার সম্প্রসারণ, সমস্যা ও উত্তরণ’ বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কীটতত্ব বিভাগের প্রফেসর মোঃ আহসানুল হক স্বপন। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচক ছিলেন বিসিকের মৌ চাষ উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক জনাব খোন্দকার আমিনুজ্জামান ও বাংলাদেশ এগ্রো প্রসেসরস অ্যাসোসিয়েশন (বাপা) এর এ এফ এম ফখরুল ইসলাম মুন্সী।  


কৃষি মন্ত্রণালয় ও অধীনস্থ বিভিন্ন সংস্থার উর্দ্ধতন কর্মকর্তাবৃন্দ, আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ, বিজ্ঞানী, গণমাধ্যমকর্মী, বিসিক এবং দেশের বিভিন্ন এলাকার মৌখামারি এবং উদ্যোক্তাগণ সেমিনারে অংশগ্রহন করেন। মেলায়  সরকারি-বেসরকারি ৫৮টি প্রতিষ্ঠানের ৬১টি স্টল রয়েছে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চাষ করা সরিষা, ধনিয়া, তিল, কালিজিরা, খেসারী, লিচু এসব ফসলে মৌ-চাষ, মধু আহরন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য জানতে পারবেন মেলায় আসা দর্শনার্থীরা। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত সকলের জন্য খোলা থাকবে। মাঠ ফসলসহ বিভিন্ন ফসলে মৌচাষ করলে মধু উৎপাদনের পাশাপাশি ফসলের উৎপাদন অনেকাংশে বেড়ে যাবে এবং পরিবেশবান্ধব খামার ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে এ মেলার আয়োজন করা হয়। ‘পুষ্টি, আয় ও ফলন বাড়াবে মৌচাষ’ প্রতিপাদ্যে শুরু হওয়া জাতীয় মৌ মেলা চলবে ১২ মার্চ পর্যন্ত। মেলার আয়োজক কৃষি মন্ত্রণালয়।


উল্লেখ্য, মধু এখন রফতানি পণ্য তালিকায় নাম লিখিয়েছে। ফসলের মাঠে মৌমাছি বিচরণ করলে পরাগায়ণের কারণে ফসলের উৎপাদন ১৫-২০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়বে। মৌচাষের মাধ্যমে মধু আহরণে সমৃদ্ধি ও শস্য বা মধুভিত্তিক কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। মৌসুমে সরিষা, ধনিয়া, তিল, কালিজিরা, লিচুসহ আবাদ হয় মোট প্রায় ৭ লাখ হেক্টর জমিতে বা বাগানে। মাত্র ১০ শতাংশ জায়গায় মৌ বাক্স বসিয়ে মধু আহরণ করে। প্রায় ২৫ হাজার মৌ-চাষিসহ মধু শিল্পে জড়িত প্রায় ২ লাখ মানুষ। উৎপাদন প্রায় ৬ হাজার টন। ফসলের এই পুরো সেক্টরটিকে মধু আহরণের আওতায় আনতে পারলে ফসলের উৎপাদন দ্বিগুণেরও বেশি হবে। দেশে এখন প্রায় সাড়ে ছয় লাখ হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদ হয়। পুরো সরিষার মাঠ মধু সংগ্রহের আওতায় আনা গেলে উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি ভোজ্যতেলের আমদানি নির্ভরতাও কমবে।

 


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon