নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার প্রায় চার হাজার ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের কৃষি পূনর্বাসন ও প্রনোদণা কর্মসুচীর আওতায় চলতি রবি/২০২০-২১ মৌসুমে উপজেলার কৃষি স¤প্রসারণ অধিদপ্তর এর উদ্যোগে গত ২৫ নভেম্বর/২০২০ উপজেলার জিমনেসিয়ামে  বীজ ও রাসায়নিক সার বিতরনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। 

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি নাটোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শহিদুল ইসলাম বকুল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগাতিপাড়া উপজেলা চেয়ারম্যান অহিদুল ইসলাম গকুল, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল কুমার রায়, জেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপক ইউনুস আলী, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি নূরুল ইসলাম ঠান্ডু। অনুষ্ঠানে সভাপত্বিত করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রিয়াঙ্কা দেবী পাল।

উদ্বোধনীর শুরুতেই বাগাতিপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো: মোমরেজ আলী তার স্বাগত বক্তব্যে বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা এলাকার ৩ হাজার ৮৬০ জন প্রান্তিক পর্যায়ের ক্ষুদ্র চাষীদের মাঝে বিনামূল্যে রবি শস্যের বিভিন্ন ফসলের বীজ ও রাসায়নিক সার  প্রনোদণা প্রদান করা হচ্ছে। 

প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, জমিতে নতুন নতুন প্রযুক্তির প্রয়োগ ঘটাতে হবে।তাই কৃষি পূর্নবাসন ও প্রনোদণা কর্মসুচীর আওতায় বর্তমান কৃষি বান্ধব সরকার ফসলের আবাদ বৃদ্ধির জন্য প্রনোদনা সহায়তা প্রদানের ব্যবস্থা নিয়েছে। এই প্রনোদনা সহায়তা কাজে লাগিয়ে প্রনোদনা গ্রহণকারি কৃষকদের কৃষি প্রনোদণা কর্মসূচীর আওতায় প্রায় চার হাজার কৃষকদের কৃষি পূনর্বাসন ও প্রনোদণা  ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও রাসায়নিক সার প্রদান করে বাগাতিপাড়া পৌর এলাকায় ৩২৮ জন, পাঁকা ইউনিয়নে ৬৭৮ জন, জামনগর ইউনিয়নে ৭৩৪ জন, বাগাতিপাড়া সদর ইউনিয়নে ৬৪৫ জন, দয়ারামপুরে ৭৭০ জন এবং ফাগুয়াড়দিয়াড় ৭০৫ জন । এই সকল সরকারী প্রনোদণার সহায়তা কাজে লাগিয়ে কৃষকদের গম, সরিষা, পেঁয়াজ, বাদাম, ভুট্টা, টমেটো, মরিচ, সূর্যমূখী, খেসাড়ী, মুগ ডাল বীজ এবং ৪৭ দশমিক ৮ মেট্টিকটন ডিএপি ও এমওপি সার বিতরণ করেন এবং আবাদ বৃদ্ধিতে এগিয়ে আসার জন্য তিনি উপস্থিত কৃষকদের অনুরোধ জানান।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা প্রশাসন ও কৃষি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারী, সাংবাদিকসহ প্রায় ৪০০ জন প্রনোদণা সহায়তা গ্রহণকারী ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষক উপস্থিত ছিলেন। সমুগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালন করেন উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা ও ডিপ্লোমা কৃষিবিদরা।