আইসিটি মিডিয়া:
লাগসই কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি সময়মতো কৃষকের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়ার জন্য আইসিটি বা তথ্য প্রযুক্তি সবচেয়ে কার্যকর একটি মাধ্যম। বর্তমান গণতান্ত্রিক সরকারের ‘ভিশন ২০২১’ বাস্তবায়নের মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মানে কৃষি তথ্য সার্ভিস বিগত পাঁচ বছরে কৃষিক্ষেত্রে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার ঘটিয়ে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-কৃষি বিষয়ক বাংলাদেশের বৃহত্তম ওয়েবসাইট www.ais.gov.bd প্রতিষ্ঠা। কৃষিবিষয়ক সমসাময়িক বিভিন্ন প্রয়োজনীয় তথ্য, প্রযুক্তি এখান থেকে পাওয়া যায়। তাছাড়া কৃষি বিষয়ে আগ্রহী যেকোন ব্যক্তি এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অনলাইনে প্রশ্ন করে দ্রুততম সময়ে সমাধান পেতে পারেন।
এছাড়া কৃষি তথ্য সার্ভিসই প্রথম আইপিএম/আইসিএম ক্লাবের কৃষক সদস্যদের মাধ্যমে গ্রাম পর্যায়ে কৃষি তথ্য ও যোগাযোগ কেন্দ্র (এআইসিসি) স্থাপন করে কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের যুগোপযোগী, আধুনিক এবং সহজতর পদ্ধতি ব্যবহারের সূত্রপাত করছে। এসব এআইসিসিতে ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটার, ইন্টারনেট মডেম, প্রিন্টার, মাল্টিমিডিয়া সামগ্রী, ক্যামেরা ইত্যাদি সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি সদস্যদের এ বিষয়ে যথাযথ প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে। এ পর্যন্ত ১৪৫ টি এআইসিসি দেশব্যাপী স্থাপিত হয়েছে। আরো ১০০টি এআইসিসি স্থাপনের প্রক্রিয়া বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। ইতোমধ্যে কৃষি তথ্য ও প্রযুক্তিভিত্তিক ১৫টি ই-বুক তথা মাল্টিমিডিয়া বুক তৈরি করা হয়েছে এবং এর মাধ্যমে সহজবোধ্যভাবে কৃষি তথ্যাদি উপস্থাপন করা হচ্ছে। এছাড়া হাতের স্পর্শের মাধ্যমে তথ্য প্রাপ্তির জন্য ‘কিয়স্ক’ তৈরি করা হয়েছে। অনলাইন কৃষক টেলিভিশনের মাধ্যমে ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
মোবাইল ফোন আমাদের জীবনযাত্রাকে অনেক সহজতর করে তুলেছে। মোবাইল ফোনকে কৃষি তথ্য বিস্তারের হাতয়িার হিসেবে ব্যবহারের লক্ষ্যে কৃষি তথ্য সার্ভিস ও প্র্যাকটিক্যাল একশন বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে স্থাপন করা হয়েছে ‘কৃষি কল সেন্টার’। কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ বিষয়ক যেকোন প্রশ্ন করে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মাধ্যমে সরাসরি সমাধান পাওয়া যাচ্ছে এই কল সেন্টার থেকে। এর পরীক্ষামূলক কার্যক্রম শেষ হয়েছে এবং বিটিআরসি থেকে একটি টোল ফ্রি শর্ট কোড নম্বরও বরাদ্দ হয়েছে। খুব শীঘ্রই আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরুর হবে এবং কৃষকভাইয়েরা এই কল সেন্টার থেকে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে কৃষি বিষয়ক সমস্যার তাৎক্ষণিক সমাধান নিতে পারবেন। এসব প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে কৃষি উন্নয়ন অনেকটুকু ত্বরান্বিত হবে-যা আাগামীতে কৃষিকে আরো এগিয়ে নিয়ে যাবে।