Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২১

ফসল উৎপাদন বাড়াতে অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ প্রধানমন্ত্রীর


প্রকাশন তারিখ : 2021-02-04

 

ছবি: পিআইডি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে গবেষণা এবং অঞ্চল ভিত্তিক ‘জোন ম্যাপ’ প্রণয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, মাটির উর্বরতা এবং পরিবেশ বিবেচনা করে যে ফসল যেখানে ভাল উৎপন্ন হয় সেখানেই তার চাষাবাদ করতে হবে।


তিনি বলেন, ‘অল্প খরচে অধিক মাত্রায় ফসল উৎপাদন কিভাবে করতে পারি সেটা বিবেচনায় এনে মাটির উর্বরতা এবং পরিবেশ বিবেচনা করে সমগ্র বাংলাদেশের এলাকা ভিত্তিক একটি ‘জোন ম্যাপ’ তৈরী করা দরকার।’


তিনি এ সময় সরকারি চাকুরে বিজ্ঞানীদের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির মাধ্যমে তাদেরকে বিশেষ প্রণোদণার আওতায় আনা যায় কিনা সে বিষয়ে চিন্তা-ভাবনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে কৃষিক্ষেত্রে টেকসই উন্নয়ন এবং সমৃদ্ধি অর্জনে প্রকাশিত ‘১শ’ কৃষি প্রযুক্তি এটলাস’ এর মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। তিনি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে কৃষি মন্ত্রণালয় আয়োজিত মূল অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন।
শেখ হাসিনা কৃষিমন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা এবং বিজ্ঞানীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘আমাদের দেশের কৃষিপণ্য যাতে মান সম্পন্ন  করা যায় তার জন্য আরো পরীক্ষাগার তৈরী করা দরকার। সেইসাথে অঞ্চলভিত্তিক পরীক্ষাগারও নির্মাণ প্রয়োজন।


দেশের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর বলেই তাঁর সরকার কৃষিকেই সর্বাধিক গুরুত্ব প্রদান করেছে, উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পণ্য উৎপাদনের মূলে থাকতে হবে দেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ানো এবং দেশ-বিদেশে বাজার সৃষ্টি ও রপ্তানি।


প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি ভিত্তিক শিল্প আমরা গড়ে তুলতে চাই এবং সেটাই আমরা করবো। এ বিষয়েও আমাদের গবেষকদের আমি সহযোগিতা চাই।’


তিনি গবেষকদের চাকরির মেয়াদ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘একদিনে গবেষণা শেষ হয়ে যায় না। দীর্ঘদিন গবেষণা করতে হয়। তবে, চাকরীর একটা বয়স নির্দিষ্ট করা রয়েছে, যার পরে আর চাকরি করা যায় না। কিন্তু গবেষণায় সম্পৃক্ত সরকারি চাকুরেদের জন্য আমি একটা কথাই বার বার বলেছি, এই গবেষকদের কিভাবে আমরা প্রণোদণা দিতে পারি যাতে গবেষণার ফসল তারা হাতে পাওয়া পর্যন্ত থাকতে পারেন।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এরজন্য তাঁর সরকার একবার উদ্যোগ নিলেও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলেই এই সুযোগটা নিতে চাওয়ায় সেটা আর সম্ভব হয়নি।
উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘অফিসের পিয়ন, আর্দালি, দারোয়ান থেকে শুরু করে কেউ আর বাদ যান না। এটাতো হয় না। এটাই আমাদের দেশে সমস্যা। কাজেই গবেষণায় যারা সম্পৃক্ত তাদের জন্য এটা কিভাবে করা যেতে পারে?


শেখ হাসিনা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বয়স সীমা বৃদ্ধি করায় সেখানে আর সমস্যা হচ্ছে না। কাজেই, আমরা ইনস্টিটিউটগুলোতে কিভাবে এই প্রণোদণাটা দিতে পারি। সেই পরামর্শটা আপনাদের কাছ থেকে চাচ্ছি। কারণ, আমাদের কৃষি গবেষকদের আমরা আরো সুযোগ দিতে চাচ্ছি।’


প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের যারা গবেষণায় নিয়োজিত রয়েছেন তাদের সমস্যাবলী নিয়ে আলোচনার জন্য তাদের সঙ্গে একটি সরকারি মতবিনিময়ের ইচ্ছা আমার রয়েছে। ভবিষ্যতে সেই ধরনের একটা সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে। যাতে আমি জানতে পারি আপনারা আরো কিভাবে গবেষণা চালিয়ে যেতে পারেন।


অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মৎস ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।


অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, কৃষি মন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মেজবাউল ইসলাম স্বাগত বক্তৃতা করেন। আরো বক্তৃতা করেন বিএআরসি’র নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার। সফল কৃষক মো. রফিকুল ইসলাম ও নিজন্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।


দেশের কৃষি বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত ধান, পাট, ইক্ষু চা, রেশম, তুলা, বনজ সম্পদ এবং মৎস সম্পদের থেকে নির্বাচিত ১শ’টি প্রযুক্তি এটলাসে যুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া, রয়েছে প্রযুক্তিগুলোর প্রয়োগে বেশ কিছু সাফল্যের গল্প। যা হতে পারে কৃষি উন্নয়নে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত। দেশ-বিদেশের পাঠকের সুবিধার্থে এই এটলাসে বাংলার পাশাপাশি ইংরেজীও রাখা হয়েছে।


বিএআরসি (বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল) প্রকাশিত এবং সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের উদ্ভাবিত এই ‘১শ’ কৃষি প্রযুক্তি এটলাস’ আধুনিক কৃষি উন্নয়ন ও কৃষকদের জীবন মান উন্নয়নে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

 

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গবেষণা বাড়ানো গেলে কৃষিপণ্যের মানোন্নয়ন এবং বাজারজাত করা সহজ হবে।


তাঁর সরকার বীজ সংরক্ষণে নরওয়ের সঙ্গে কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা গবেষণাকে সবথেকে বেশি গুরুত্ব দেই এবং মনে করি, গবেষণাকে সব থেকে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।’
জাতির পিতার বক্তব্য- ‘আমার মাটি এত উর্বর যে এখানে একটা বীজ ফেললেই একটা গাছ হয়, ফল হয়। তবে, আমার দেশের মানুষ খাবারের কষ্ট পাবে কেন’-এর উদ্ধৃতি দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সে জন্য তিনি সব পদক্ষেপ নিতেন। আর এজন্য গবেষণাটা একান্তভাবে প্রয়োজন।


লবণাক্ততা সহিষ্ণু ধান উৎপাদনে বিজ্ঞানীদের সাফল্যের জন্য তাদের ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী দুর্যোগ সহনীয় ফসল উৎপাদনে বিজ্ঞানীদের আরো গবেষণার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, তাঁর সরকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে কৃষিজমি রক্ষায় নদী খনন এবং ড্রেজিয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেছে, উল্লেখ করে তিনি দুর্যোগ মোকাবেলায় সরকার প্রদত্ত সহযোগিতার তথ্য ও তুলে ধরেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বন্যা, খরা, শিলাবৃষ্টি, অতিবৃষ্টি, ঘূর্ণিঝড়, উজানের ঢল, পাহাড়ী ঢল ইত্যাদি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবং বিশেষ বিশেষ ফসল চাষাবাদে উদ্বুদ্ধকরণে ২০০৯ সাল থেকে এ পর্যন্ত ১৪০২ কোটি ৫৯ লক্ষ টাকা প্রণোদনা দেয়া হয়েছে।


দেশে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হলেও বাইরে বের হলে মাস্ক ব্যবহারের প্রতি তিনি গুরুত্বারোপ করে সারাদেশে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে তাঁর আহ্বান পুণর্ব্যক্ত করেন।
করোনা মোকাবেলায় তাঁর সরকারের ১ লাখ ২৪ হাজার কোটি ৫৩ কোটি টাকার ২৩টি প্রণোদনা প্যাকেজের পদক্ষেপও তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।


শেখ হাসিনা বলেন, বিজ্ঞানীদের উদ্ভাবিত জাত ও প্রযুক্তির মধ্যে ১শ’টি প্রযুক্তির আজকে যে এটলাস প্রকাশ করা হলো তাতে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে। এটি সকলের জন্য একটা অভিজ্ঞতা এবং ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য প্রেরণা হিসেবে থাকবে এবং কৃষি ভিত্তিক এই দেশকে আত্মনির্ভরশীল হতে আরো সহায়তা করবে।


দেশীয় ফলমূলের ওপর আরো গবেষণার আহ্বান জানিয়ে নতুন নতুন প্রজাতি সৃষ্টিতেও বিজ্ঞানীদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।


তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশীয় ফলগুলো বিদেশি বিভিন্ন ফলের চাইতে বেশি সুস্বাদু হওয়ায় এগুলোর উৎপাদন ও বাজারজাত করণে আরো গবেষণার দরকার। তবে, এসব ফলের বিভিন্ন প্রজাতি উদ্ভাবনে অরিজ্যিনালিটি যেন নষ্ট না হয় সেটাও দেখতে হবে।’


‘কাজেই গবেষণা ছাড়া কোন উপায় নেই, গবেষণা আমাদের করতে হবে,’ বলেন তিনি।


বঙ্গবন্ধুর শুরু করে যাওয়া কৃষি বিপ্লবের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি কৃষকদের ২৫ (পঁচিশ) বিঘা পর্যন্ত খাজনা মওকুফ, ১০ লক্ষাধিক কৃষকের সার্টিফিকেট মামলা প্রত্যাহার এবং ভূমিহীন কৃষকদের মাঝে খাসজমি বিতরণসহ নানাবিধ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছিলেন।


কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করে প্রথম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় উন্নয়ন বাজেটের ৫‘শ কোটি টাকার মধ্যে ১ শত ১ কোটি টাকা কৃষি উন্নয়নে বরাদ্দ প্রদান করে স্বনির্ভরতা অর্জনের উদ্যোগ নিয়েছিলেন জাতির পিতা।


সেই পদাংক অনুসরণ করেই তাঁর সরকার দেশে প্রথমবারের মতো ‘কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ১৯৯৬’ ও ‘কৃষি নীতি ১৯৯৯’, ‘জৈব কৃষি নীতি ২০১৬’, ‘জাতীয় কৃষি নীতি ২০১৮’ এবং ‘জাতীয় কৃষি সম্প্রসারণ নীতি ২০২০’ প্রণয়ন করেছে।


১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার থেকে শুরু করে কৃষক কল্যাণে প্রায় ২ কোটি ১০ লাখ কৃষক উপকরণ কার্ড বিতরণ এবং বর্গাচাষীদের জন্য জামানতবিহীন কৃষি ঋণ প্রদানের উদ্যোগ তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী।
সারের মূল্য হ্রাসসহ কৃষকের উৎপাদন খরচ নিম্নপর্যায়ে রাখতে ২০০৯ থেকে ২০২০ পর্যন্ত সার, বিদ্যুৎ ও ইক্ষু খাতে কৃষকদের মোট ৭৫ হাজার ৮ শত ১৫ কোটি টাকা উন্নয়ন সহায়তা প্রদান করা হয়েছে, বলেন প্রধানমন্ত্রী।


তিনি মুজিববর্ষে দেশের সকল গৃহহীন জনগণের প্রত্যেককে অন্তত একটি ঘর নির্মাণ করে দেয়ার মাধ্যমে ঠিকানা করে দেওয়ায় তাঁর অঙ্গীকার পুণর্ব্যক্ত করে দেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান অব্যাহত রাখার জন্যও দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।

সূত্র: বাসস


COVID19 Movement Pass Online Police Clearance BD Police Help line Expatriate Cell Opinion or Complaint NIS Bangladesh Police Hot Line Number Right to Information PIMS Police Cyber Support for Women BPWN Annual Training Workshop Achievement & Success PHQ Invitation Card
Press Release Recruitment Information Procurement / Tender Notice Legal Instrument Innovation Corner Detective Magazine Bangladesh Football Club Diabetes-Covid19 Exam Results Accident Info Important Forms

Apps

icon icon icon icon icon icon