Wellcome to National Portal
কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ এপ্রিল ২০১৭

চীন সরকারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশকে কৃষি যন্ত্রপাতি হস্তান্তর


প্রকাশন তারিখ : 2017-04-25

কৃষির উন্নয়নে চীন সরকার বাংলাদেশ সরকারকে ৬হাজার ৪টি কৃষি যন্ত্রপাতি হস্তান্তর করেছে। বাংলাদেশ ও চীন সরকারের মধ্যে অর্থনৈতিক ও কারিগরি সহযোগিতা সংক্রান্ত চুক্তি মোতাবেক এই যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছে। চীনা অনুদানে প্রাপ্ত কৃষি যন্ত্রপাতিসমূহ হস্তান্তর ও গ্রহণের আনুষ্ঠানিক স্বাক্ষর অনুষ্ঠান ২৫ এপ্রিল ২০১৭ তারিখ সকাল ১০:০০টায় ঢাকার খামারবাড়িস্থ আ.কা.মু গিয়াস উদ্দিন মিলকীর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সম্পাদিত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ্ ও চীন সরকারের পক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত সম্মানিত চীনা রাষ্ট্রদূত Mr. Ma Mingqiang. উল্লেখ্য ১১কোটি টাকা সমমূল্যের ১৩ ক্যাটাগরির যন্ত্রপাতিগুলোর মধ্যে গ্রেইন কম্বাইন হারভেষ্টার ১৮টি, সীড থ্রেসার/সেলার ১৬টি, হুইলড ট্রাক্টর ১১০টি, রোটারী টিলার ০৫টি, সিডার মেশিন/হুইট সিডার ০৫টি, রাইচ ট্রান্সপ্লান্টার (রাইডিং ও ওয়াকিং) ২০টি, সীডলিং রেইজিং ট্রে ৫০০০টি, সাবমারসিবল পাম্প ২০টি, পাওয়ার টিলার/কালটিভেটর ৩০০টি, স্প্রেয়ার/মিস্ট ডাস্টার ৪০০টি, সিডার/গ্রেইন সিডার ১০০টি ও থ্রেসার ১০টি  রয়েছে। চীন সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের চুক্তির আওতায় ১৫০ মিলিয়ন আরএমবি ইউয়ান অনুদান প্রদানের লেটার অব একচেইঞ্জ প্রাথমিকভাবে ১৬ সেপ্টেম্বর ২০০৮ এবং চুড়ান্তভাবে ২০১৫ ও ২৫ মে ২০১৬ তারিখে স্বাক্ষরিত হয়। এ অনুদানের অর্থ হতে ৯.৭ মিলিয়ন আরএমবি ইউয়ান কৃষি মন্ত্রণালয়ের জন্য বিভিন্ন ধরণের কৃষি যন্ত্রপাতি অনুদান হিসেবে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পোর্ট পর্যন্ত পৌঁছানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। যন্ত্রপাতি সমূহ ৩১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে চট্টগ্রাম বন্দরে আসে এবং কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্বাচিত কনসাইনি হিসেবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের খামার যান্ত্রিকীকরণ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক শেখ মো. নাজিম উদ্দিন কাষ্টমসহ যাবতীয় ক্লিয়ারেন্স সম্পন্ন করার পর যন্ত্রপাতিসমূহ বিএডিসির চট্টগ্রামের কালুরঘাট গুদামে সংরক্ষণ করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী চীন সরকারের ৬(ছয়) জনের একটি কারিগরি দল ডিএই, বিএডিসি ও বিএমডি এর ৪০জন মেকানিককে যন্ত্রসমূহ সংযোজন, রক্ষণাবেক্ষন ও ব্যবহারের উপর কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান করেন। কৃষি যান্ত্রিকীকরণের জন্য ২০২১, ২০৩১ ও ২০৪১ সালে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ১২টি কার্যক্রম (১. গবেষণা ও উন্নয়ন; ২. কৃষি যন্ত্র প্রস্তুতকারকদের সক্ষমতা বৃদ্ধি; ৩. লাগসই কৃষি যন্ত্র ও জনপ্রিয়করণ; ৪. জমি বিন্যাস ও কৃষি যন্ত্র চলাচলের রাস্তা প্রস্তÍত; ৫. স্টেক হোল্ডারদের সক্ষমতা বৃদ্ধি; ৬. প্রাতিষ্ঠানিক বিন্যাস; ৭. ভাড়ায় যন্ত্র সেবা প্রদান; ৮. কৃষি যন্ত্র ক্রয়ে উন্নয়ন সহায়তা/প্রণোদনা; ৯. মান নিয়ন্ত্রণ ও প্রত্যয়ন; ১০. কৃষি যন্ত্র প্রস্তুতিকরণে উদ্যোক্তা সৃষ্টি; ১১. কৃষি যান্ত্রিকীকরণের নীতিমালা প্রণয়ন; ও ১২. নিরাপদ ব্যবস্থাপনা) চিহ্নিত করে একটি রোডম্যাপ প্রণয়ন করা হয়েছে এবং বাস্তবায়নের কার্যক্রম চলমান আছে।